Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
নারী ও শিশু সমাবেশ/২৮-০৯- ২০১৩
বিস্তারিত

 

 

          গাইবান্ধা সদর উপজেলাধীন ৬নং রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নে গত ২৮-০৯-২০১৩খ্রিঃ সকাল ১১.০০ ঘটিকায় এক নারী ও শিশু সমাবেশের আয়োজন করা হয়। উক্ত সমাবেশে রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে দুঃস্থ ও হতদরিদ্র মহিলা ও বিভিন্ন এনজিও নারী কর্মী উপস্থিত হয়েছিলেন। সমাবেশে প্রধান অথিতি ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মোঃ মামুনুর রশীদ, অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউ.পি চেয়ারম্যান জনাব মোঃ রফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানের শুরম্নতে ১ নং ওয়ার্ড ইউ.পি সদস্য জনাব মোঃ মেহেরম্নল ইসলাম বলেন, বাল্য বিবাহ হলে মেয়েরা শারীরিক দূর্বল হয় এবং সমত্মানের যত্ন নিতে পারে না, সংসার সম্বন্ধে তেমন বোঝে না।

১,২ ও ৩নং ওয়ার্ডের মহিলা সংরÿÿত আসনের সদস্য মোছাঃ হোসনেআরা বলেন অল্প বয়সে আমরা আমাদের মেয়েকে বিয়ে দিতে পারলে আমাদের ঘারের বোঝা নেমে যায়, তা সঠিক নয় এতে করে আমাদের ভবিষ্যতে আরওসমস্যা সৃষ্টি হয় যা পিতা মাতার অর্থনৈতিক অবস্থার উপর প্রভাব ফেলে।

৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, নারী ও শিশু অধিকার রÿা করা আমাদের তথা গোটা মানব জাতির সকলের দায়িত্ব। যৌতকের টাকার লোভে আমরা অল্প বয়সে ছেলেদের বিবাহ করাই। ছেলের বউ শাশুড়ীর সঙ্গেসব সময় ঝগড়া বিবাদ করে। অল্প বয়সে মেয়েরা সমত্মান ধারন করে, যার ফলে মেয়েদের চেহারা খুব তারাতারি নষ্ট হয়ে যায়। এ কারনে অনেক ছেলেরা সেই বউকে নিয়ে সংসার করতে চায় না সে অন্যত্র বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বাল্য বিবাহের ফলে আমাদের মধ্যে বহু বিবাহের জন্ম হয়।

 

পরিশেষে অনুষ্ঠানের সভাপতি ইউ.পি চেয়ারম্যান জনাব মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন,আমাদের সমাজে নারী অর্ধেক। নারী জাতে পুরম্নষের পাশাপাশি স্বাচ্ছন্দে কাজ করতে পারে সেদিকে সকলের নজর রাখা উচিত, তাহলে নারী কখনো পিছিয়ে থাকবে না। একজন মায়েকে খেয়াল করতে হবে তার সমত্মান ঠিকভাবে স্কুল যায় কি না, স্কুলে গিয়ে কি করে, ঠিক ভাবে পড়াশুনা করছে কি না, সেগুলি খেয়াল করতে হবে একজন নারীকে কেননা তার পিতা আয় রোজগারে কাজে হয়তো অনেক সময় ব্যসত্ম থাকে তাই সমত্মানের খেয়ালের জন্য একজন মায়ের যথেষ্ট ভুমিকা রয়েছে। মাকে তার মেয়ের দিকে নজর দিতে হবে মেয়ে যখন বড় হয় তখন মেয়ের দেহ ও মনের সাথে বিভিন্ন কিছুর পরিবর্তন ঘটে, সেগুলো মায়েকে বুঝিয়ে দিতে হবে বন্ধুর মত করে। মা একটি মায়ের সাথে সব বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করে তাকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারে। বাল্য বিবাহ সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন যে ১৪ বছরের মেয়েকে যখন বিয়ে দিতে হয় তখন তার জন্ম নিবন্ধন প্রয়োজন হয়, তখন মেয়ের বাবা, মা, বা অন্য কোন আত্নীয় স্বজন ইউ.পি সদস্যদের চাপ দেন জন্ম নিবন্ধন করিয়ে দেয়ার জন্য, তাতে কোন কাজ না হলে ইউ.পি চেয়ারম্যান কে অবিহিত করেন। এতে করে আমাদেরকে বিপাকে ফেলে দেওয়া হয়। তিনি বাল্য বিবাহের কুফল সম্পর্কে নারীদের কে অবিহিত করেন আর নারী সমত্মান বোঝা নয় তারাও শিÿÿত হলে অনেক সুফল বয়ে আনতে পারে। পরিশেষে তিনি নারীদের উত্তোরত্তর ভবিষ্যৎ  কামনা করে সভার সমাপ্তি করেন।

ছবি
ডাউনলোড